-->

অনিল ঘড়াই-এর 'বেলমুন্ডি' গল্পের কুমকুমমুখীর জীবনকথা - ড. চঞ্চলকুমার মণ্ডল

 

মদভাটির মালকিন বেলমুন্ডি তথা, কুমকুমমুখীর জীবন কথা :

অনিল ঘড়াই-এর 'বেলমুন্ডি' গল্পের কুমকুমমুখীর জীবনকথা - ড. চঞ্চলকুমার মণ্ডল

মদভাঁটির মালকিন কুমকুমমুখী। যার জীবন কাহিনী এ পর্যন্ত বাংলা গল্পে তেমন ভাবে উঠে আসেনি। সেই কুমকুমমুখীর জীবন ভাষ্যই গল্প শিল্পী অনিল ঘড়াই ফুটিয়ে তুলেছেন তার ‘বেলমুন্ডি’ গল্পে। ভাটিশালায় দারু’জোগান দেওয়াই তার পেশা। পুরােবস্তির লােক তাকে কুমকুম নয়, বেলমুন্ডি নামেই চেনে। নাই বা চিনুক কুমকুম’ নাম। কুমকুমমুখী জানে-“অত নরম নামে তরল ব্যবসা চলে না। — সারা বস্তির লােক ভয়পায় বেলমুন্ডিকে। তার হাতের মুঠোয় সারা বস্তি এলাকা। পুলিশও তার কিছু করতে পারে না। তার গ্যাং আছে। আছে অনেক চ্যালা-চামুণ্ডাও। এই পথে সেদু’হাতে অনেক টাকা কামিয়েছে। বস্তির দুর্গাপুজোয় সে মােটা চাদা দেয়। এমনকী, পুরুলিয়ার ছৌ-নাচের সমস্ত খরচও তার। কিন্তু, সব পাওয়ার মধ্যেও বেলমুন্ডি যেন জীবনের সর্বসুখ থেকে বঞ্চিত। গল্পশিল্পীর ভাষায় —‘বিধাতা তাকে সব দিয়েছে, আবার সব দিয়েও কিছু দেয়নি। তার নাক-চোখ-মুখ ভাল, গা-হাত পায়ের গড়ন ও চলনসই – কিন্তু মাথাটা বেলের চাইতে একটু বড়। সুরুগলার ও মাথাটা বড্ড বেমানান - যে ঝাটার কাঠির ওপর আলুর দম' - এমন বিকৃত গঠনের মেয়ে কুমকুমমুখি তথা, বেলমুভিকে ছােট্টো বেলায় বস্তির ছেলে-মেয়েগুলাে খেপাত অর্থহীন ভাষার ‘বেলমুন্ডি, জুগুরগুন্ডি, চুলগুড্ডি। জন্মদাগের মতাে ঐ অর্থহীন শব্দগুলাে আজও তার মাথায় দিল। শালোর ভগমান কি রেতকানা। তার কি চোখের পাতা পুড়ে গেছে - আশা নিয়ে অনেক গর্ব করে বলত, - ছােট্ট মাথায় মেয়ে আমার কত বুদ্ধি ধরে দেখাে। দেখবা এ মেয়ে আমার বড় হাসপাতালের নার্স হবে। কিন্তু নার্স হতে চায়নি বেলমুন্ডি। সেকেন্ড ডিভিশানে মাধ্যমিক পাশ করার পর তার আর পড়া এক বছরের মধ্যে তার মা-বাপ চিতায় পুড়ে ছাই হল, সেই সঙ্গে স্বপ্নপুড়ে গেল বেলমুন্ডির। তবু বুদ্ধি পাড়েনি তার। সেই ছােট্ট মাথার বুদ্ধি নিয়ে সে আজ অনেক টাকার মালকিন হয়ে উঠছে। সেই টাকার গন্ধে মাছি উড়ছে অনেক। ওরা ড্রাশ-মাছি, তাকে চুষে খবে। বেলমন্ডি করাও এটা হতে পারবে না। কেউ যদি ভালবেসে আসে তাে ভাল কথা, তাহলে নােঙর করতে বাধা নেই। কিন্তু বেলমন্ডির শূন্য জীবন জাহাজ ভেসেই চলেছে, কুলে ফেরাবার যােগ্য নাবিকের দরকার। কিন্তু, কারা তার চারপাশে ঘুরঘুর করে, তারা কেবল তাকে নয়, — তার টাকাকে ভালবাসে। তাদের ভরসা করা যায় না। নিশ্চিত ওরা তার জীবন জাহাজকে ডুবিয়ে ছাড়বে। আসলে, বেলমুন্ডির দুঃখ অনেক। দুঃখ তার শারীরিক গঠন নিয়ে। সে আহামরি নয়, রঙ ধরাতে পারে না – পুরুষের চোখে’ – তাই বলে সে নির্লজ্জ হতে পারে না। সে যথেষ্ট সংযমী। আত্মসচেতনও। অনিল ঘড়াইয়ের লেখনী বলে পুষ্ট প্রায় সকল নারী চরিত্রগুলি দৃঢ়চেতা। প্রবল আত্মসংযমী। কোনাে প্রতিকূল অবস্থাতেই তারা বিপথগামী হতে চায় না। তেমনি, এই বেলমুন্ডির মনে রঙ থাকলেও, সেই রঙ যেচে কাউকেও সে বিলিয়ে দিয়ে ছােট হতে চায় না। সে খাটবে খাবে। সততাকে সম্বল করে গর্বের সঙ্গে বাঁচবে। যেমন করে শিল্পীর কালকেতু' গল্পের ফুল্লরা ও সতীত্বকে সম্বল করে গর্বভরে বলে উঠেছে। কাপড় ছিড়ে ফ্যাতা-ফ্যাতা, ঘরের মটকার খড় পচে গেল, তাতে কি হল, ফুলাে কি মরে গিয়েছে? বরং তার চর্বিগা দেহটা খেটে খেটে পয়সা কামিয়েছে — গতর থাকলে আবার ভাতের অভাব? ভাগ্যে যদি এভাবে শিল্পীর লেখনী প্রসূত পায় সকল নারী চরিত্রগুলি প্রবল ব্যাক্তিত্ব চেতায় প্রােজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

বেলমুন্ডির আছে হলুদ রঙের বাড়ি, সবুজ রঙের লুনাগাড়ি । তবুও মনটা তার ফঁকা - ফাকা। সব রয়েও যেন কিছু নেই। মুন্না নামের এক মাতালকে টলতে দেখে হেসে ওঠে বেলমুন্ডি। তাই দেখে মাতাল মুন্না বিরক্তিতে তেতে ওঠে। কিন্তু বেলমুন্ডি তাে কারুর রক্তচোখকে ভয় পায় না। সে স্প্রিংচাকুটা বেরকরে কোমরের কাছ থেকে, তারপর ডাকাত দেবীর কায়দায় তুলে ধরে। বিপদ বুঝে ভাটির মালিক এসে মুন্নাকে কিছু ঘটে যাওয়ার আগে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে দূরে ঠেলে সরিয়ে দেয়। বেলমুন্ডির ক্ষমতা সম্পর্কে তাকে সচেতন করিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালাতে বলে। মুন্না অনিচ্ছা সত্ত্বেও তখনকার মত দৌড়ে পালায়। গল্পকার এই বৃহন্নলা নারী কুমকুমমুখীর চেহারার বর্ণনা দিয়েছেন মাতবাস্তবানুগ ;-হাতে চুড়ি নেই, লােহার বালা। কানে মােটা সােনার দুল টিপ ফিপ পরে না।পরলে তাকে নাকি মেয়ে ছেলের মতাে দেখায়। পা’রে চামড়ার চটি নয়, সােলে পেরেক বসানাে জুতাে। এবড় বিচিত্র সাজ বেলমুন্ডির।

এ হেন চেহারার, বিচিত্র সাজের বেলমুন্ডি যে কারুর মনে রঙ ধরাতে পারে; তা সে করতে পারে না। তার এ জীবন কেবল মাত্র টাকা রােজগারের মেশিন। এ জীবন কোনাে গতে পারে না। সব ফুল যেমন দেবতার পায়ে পৌঁছায় না; তার এই সমাজ নিন্দিত শক উপহাসিত - শব্দের বিকৃত দেহটাও মাটি হয়ে গেল। কোনাে কাজেই লাগল না। 'হিজরে' নামক উপহাসিত - শব্দের বিকৃত দেহটাও মাটি হয়ে গেল। কোনাে কাজেই লাগল না, অথচ – ইস্কুলে তার সঙ্গে যারা পড়ত তারা সবাই শাকা সিঁদুর পরে শ্বশুর বাড়ি পুজোয় ছেলে কাঁখে নিয়ে বাপের দোর ঘুরতে আসে। তাদের দেখে মনটা টাটায় বেলছি, মনে হয় টাকার কোনও মূল্য নেই, শুধু মূল্যবান জীবন। অথই জলে ভেসে যাওয়া জীবন হই - পেতে চায় তখন। খড় কুটো পেলেও যেন আঁকড়ে ধরবে।

আসলে প্রতিটা নারীর মধ্যেই লুকিয়ে থাকে আস্ত একটা নদী। নদী যেমন পুরুষতীরকে মাখ, (জীবনানন্দীয় ভাবনায়)। তেমনি ঔ বৃহন্নলা নারী বেলমুন্ডির মধ্যেকার নিঃসঙ্গ মনের ঘুমিয়ে থাকা নদীটা পুরুষ তীরকে ছুঁতে চায়। কিন্তু, তেমন সাহসী পুরুষই বা কোথায় সবাই তাকে দেখে ইদরের মতাে দৌড়ে পালায়। যুগে যুগে প্রতিটা নারীতাে বীর পুরুষকেই বরমাল্য দিয়ে এসেছে। শুরু ও তেমন সাহসীপূর্ণ পাথর চাট্টান বুকের বীরপুরুষই চায়। তার ঘর আছে, কিন্তু সেই ঘরের মানুষ নেই। যে তার টান টান বিছানার চাদর এলােমেলাে করে দেবে। ঘরময় নােংরা করে তুলবে। সে ঘরের স্বাদই আলাদা। প্রতিটা নারীইতাে মনের কোণে এমন স্বপ্ন বােনে।

‘বহুদিন ধরে করে ছিনু আশা

 ধরনীর এক কোণে

 বাঁধিব আপন মনে

ধন নয় মান নয়।

একটুকু বাঁসা।'

– রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

 যে বাসায় তুমি আমি দু’জন শুধু। তুমি আমি দু’জন। কিন্তু, বেলমুন্ডির ঐ স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যায়। একাকিত্বের নৈরাশ্যভরা মন নিয়ে, আদায় সেরে এলােমেলাে ভাবনায় পথহাঁটে বেলমুন্ডি। বেলা গড়ে সন্ধ্যে হয়ে আসছিল। সেদিনের সেই অপমানের পর, একটা সুযােগ খুঁজছিল মুন্না। সে হেরে যাওয়ার ছেলে নয়। তিন কুলে তার কেউ নেই। যার কেউ নেই, সে কেন এমন ভীতু নেংটি ইঁদুর হয়ে বাঁচবে? সেও বেলমুন্ডিকে ছেড়ে দেবে না কিছুতেই। তাই, পথ আটকায় মুন্না।হ্যাঁচকাটানে তাকে চেপে ধরে। কোমরে লুকিয়ে রাখা স্প্রিং চাকুটা বের করে ঝঙ্কার দিয়ে ওঠে বেলমুন্ডি - “খবরদার! বাঁচতে চাওতাে হাত ছেড়ে দাও!’ কিন্তু বিন্দু মাত্র ভয় পায় না মুন্না। সে বরং আরাে শক্ত করে চেপে ধরে বেলমুন্ডির হাত। হাত নয় যেন শুয়ে থাকা কালসাপ। বেলমুন্ডি বিস্মিত হয়। মুন্না তাকে ইস্পাত কঠিন হাত দিয়ে জাপটে ধরে। স্প্রিং -এর চাকুতে বেলমুন্ডি চিরে দেয় মুন্নার হাত। তবুও মুন্নার জেদ বিন্দুমাত্র টোল খায় না। বরং তাকে টানতে টানতে দাঁড় করিয়ে দেয় ঝােপের ভিতর। পুরুষ বাহুর আকর্ষণে এই প্রথম বেলমুন্ডির ভেতর এক অন্য ধরনের অনুভূতি শুরু হয়। উত্তেজনায় শরীর ঝাকাতে থাকে। — মনে মনে সে প্রার্থনা করে- মুন্না তাকে মেরে ফলুক। পিষে দিবা শরীরে যাতায়। সবাই তাকে দেখে ভীতু ছুঁচোর মতাে পালায়। তাদের হাতে মরলে জীবন বরাবাদ হয়ে যেত। বাঘ নয়, সে যেন সিংহে মুখােমুখি দাঁড়িয়েছে।

এতদিন, যে বেলমুন্ডিকে দেখে সবাই কেমন ভয়ে গুটিয়ে যেত; যে বেলমুন্ডি হিরােকে জিরাে বানাতে ওস্তাদ! যে, তুড়ি মারলেই এক কুডি মস্তান জড়াে হয় তার পিছনে _'বেলমুন্ডিকে অস্ত্র হাতে গর্জে উঠতে দেখেও বিন্দুমাত্র ভয় পায়নি ঐ মুন্না। এমন বার সা" পুরুষকেই ভরসা করতে পারে বেলমুন্ডি। কালিদাসের ‘বিক্রোমবর্শীময় ' নাটকেও দেখা । স্বার্গের নর্তকী উর্বশী মর্তের রাজা পুরুরবার রূপে ও বীরত্বে মুগ্ধ হয়ে তাকে পতীত্বে বরণ করতে চেয়েছে। লক্ষী স্বয়ম্বর’ নাটকে ঊর্বশী কে , দেবগুরু বৃহস্পতি কারপ্রতি ধায়মন? - প্রশ্ন করলে; উর্বশী, দেবরাজ ইন্দ্র না বলে -মর্তের রাজা পুরুরবার প্রতি’ বলে উত্তর দিয়েছে। রবীন্দ্রনাথেরউর্বশী/ কবিতায় ঊর্বশীর সেই খেদোক্তি ধ্বনিত হয় ,

দেবতারা জানে শুধু নাচাইতে

তবে আমি কেন হলেম সুন্দর!

তবে এই ঊর্বশীর সঙ্গে বেলমুন্ডির তুলনা চলে না। কারণ উর্বশীর মত বেলমুন্ডি তাে আর সুন্দরী নয়? শুধু রূপ কেন, তার ঐ অপূর্ণ নারী শরীরের কথা ভেবে সে শিউরে ওঠে। ভয়ার্ত কণ্ঠে মুন্নাকে সতর্ক করে দিয়ে বলে আমি জন্মের পর থেকে মরে আছি। নিজের শরীর দিয়ে কারওর চোখে নেশা ধরাতে পারি না বলেই দারু কারখানা খুলেছি। '—সব শুনেও মুন্না অনড়। বেলমুন্ডির সংস্পর্শে বর্ণময় হয়ে ওঠে তার জীবন। প্রতিশােধের কথা ভুলে মুন্না ঠোট দিয়ে বেলমুন্ডির ঠোট কামড়ে ধরে। এলােমেলা শরীর নিয়ে বেলমুন্ডিতথা, কুমকুমমুখি শুয়ে থাকে মাটির ওপর। কেবল পায়ের বুড়াে আঙুলে সে ছিটিয়ে দেয় মাটি।

মাটি বলল, বেটি কুমকুম। তাের জীবন মাটি হয়নি।

জীবন ফুলগাছের মতাে। ফুলফুটলে ভ্রমর আসবেই।

এভাবে, মাটির অনুসঙ্গে, মাটির মহিমায়-জীবনের আসল ঐশ্বর্যকে ছুঁতে চেয়েছেন গল্প শিল্পী। জীবন ও ফুলগাছ’ মিললমিশে একাকার হয়ে উঠেছে প্রগাঢ় জীবন সংবেদী অনিল ঘড়াইয়ের শিল্প ভাবনায়। যেখানে, তাঁর শিল্পভাবনা অপেক্ষা জীবনভাবনাই বারবার মূখ্য হয়ে উঠেছে - কথা শিল্পের অক্ষরে-অক্ষরে। কোনাে জীবনই ব্যর্থ হবার নয়, ফুল যেমন দেবতার পূজোয় লাগে, তেমনি প্রতিটি জীবনও অতিমূল্যবান। কোনাে জীবনই ঘৃনার কিংবা অবহেলার নয়। গল্পকার তার আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস ‘জন্মদাগ’ এ 'ঘৃনা ' প্রসঙ্গে বলেছেন ,

ঘৃণা হলাে গলী -নর্দমার পুকা। এ জিনিস মনে ঠাই পেলে

 সােনাও পাঁক হয়ে যায়

কতখানি জীবন দরদী হলেই যে, জীবন সম্পর্কে লােকায়তভাবনায় - এমন সাবধানী নীতি কখন উচ্চারিত হয় আলােচ্য এই বেলমুন্ডির জীবন কথায় ও তা অনুভব করা যায়। তাই কথাশিল্পীর দৃষ্টিতে এই সমাজ অবহেলিত বৃহন্নলাদের জীবনও বিফল হবার নয়। সবার অলক্ষে বেড়ার ধারে যে ফুলফুটে থাকে, তারও যে গন্ধ লুকিয়ে রয়েছে - তা ঐ মুন্নাদের মতাে বীর পুরুষ ভমরেরাই খুঁজে পেতে পারে। তাইতাে মুন্নার মতাে বীরদর্শী-সাহসী, তেজস্বীপুরুষের সাহচর্যেই বেলমুন্ডি তথা, কুমকুমমুখির মনের মধ্যে জমে থাকা হতাশার কালাে মেঘ মুহুর্তেই সরে যায়। এভাবে, মদভাটির মালকিন কুমকুমমুখির জীবন কথায় গল্পকার সমাজের চোখে উপহাস্যের পাত্রী রূপে বিবেচিত বৃহন্নলানারী কে মাটি’র অনুসঙ্গে এনে, জীবনকে এক গভীরতর তাৎপর্যে পৌঁছে দিয়েছেন। ফলে জীবনের সত্যতর রূপ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। আসলে প্রত্যেকটা মানুষই সত্যকে অবলম্বন করে কিন্তু, উপলব্ধি করে না। এমনই কষ্টকর অথচ স্পষ্টতর মন্তব্যে আয়ারল্যান্ডের কবি বলেছিলেন

'Man can embody truth but can not know it'-yeats.

অনিল ঘড়াই সেই, জীবন সত্যতার সরলতম - রূপায়ণেরই কারিগর।।